প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল বুধবার রাত আটটা থেকে পুনরায় কাগজ উৎপাদনে ফিরেছে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) লিমিটেড। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আব্দুল হাকিম।
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) লিমিটেডকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উৎপাদনে যাওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছেন শ্রমিকেরা। উৎপাদন শুরু না করলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় কেপিএম শ্রমিক-কর্মচারী পরিষদের (সিবিএ) আয়োজনে কেপিএম ১ নম্বর ফটক সংলগ্ন চত্বরে
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, ‘কর্ণফুলী কাগজ কলের ফ্যাসিলিটিজ আছে। কিন্তু কারখানার যন্ত্র পুরোনো, অনেকগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে কাগজের যে চাহিদা আছে তা কর্ণফুলী কাগজ কল যাতে মেটাতে পারে সে জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে কেপিএম আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারে।’
কাগজ সাদা ধবধবে করে উন্নত মান নিশ্চিত করতে ১৯২ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছিল কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) কর্তৃপক্ষ। সেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে আরও ১০ বছর আগে। কিন্তু কাগজ সাদাও হয়নি, ‘উন্নতমানের’ কাগজও পাওয়া যায়নি কেপিএম থেকে।
দেশের বৃহত্তম কাগজকল ‘কর্ণফুলী পেপার মিলস’ বা সংক্ষেপে কেপিএম। রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় কর্ণফুলী নদীর তীরে ৪৪২ দশমিক ৩ একর জায়গার ওপর এ মিলটি স্থাপিত হয় ১৯৫৩ সালে।
দেশের বৃহত্তম কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম)। ১০-১৫ বছর আগেও এ মিলের কাগজের চাহিদা ছিল শীর্ষে। কিন্তু করোনার সময়ে অর্ডার ছাড়া কাগজ উৎপাদন করে বিপাকে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটি। প্রায় ৪ হাজার টন কাগজ গত দুই বছরেও বিক্রি করতে পারেনি কর্ণফুলী।
এনসিটিবি বিধি ভেঙে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ কিনছে। এতে সরকারি প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলে ৫ হাজার মেট্রিকটন কাগজ অবিক্রীত পড়ে আছে। যার বাজারমূল্য ৫০ কোটি টাকার ওপরে। এতে আটকে গেছে শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২ মাসের বেতন; স্তিমিত উৎপাদন